ইসরায়েলের আক্রমণে শীর্ষ ইরানি সামরিক কর্মকর্তাদের মৃত্যু, তেহরানে ক্রমাগত বিস্ফোরণ ও যুক্তরাষ্ট্রের অনড় অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, ইরানে ইসলামি শাসনব্যবস্থার পতন কি এবার হতেই চলেছে? অনেক বিশ্লেষক বলছেন, খামেনির পতন এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র।
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত যখন বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। আর এই অনিশ্চয়তা নতুন কিছু নয়—বরং নিজের রাজনৈতিক দর্শনের অংশ হিসেবেই ‘অপ্রত্যাশিত’ বা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ থেকে যেতে পছন্দ করেন তিনি।
ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর সামরিক ভান্ডারের বড় একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনো তাদের কাছে বিধ্বংসী বেশ কিছু অস্ত্র আছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধনের মতো বেশ কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এখনো অবশিষ্ট রয়েছে হিজবুল্লাহর ভান্ডারে। তবে এরপর ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ সামাল দিতে যে পরিমাণ
কানাডায় চলমান শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭-এর শীর্ষ সম্মেলনে পুরো মনোযোগ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে। সেখানে অন্য কোনো ইস্যু বলতে গেলে স্থানই পায়নি; বরং এই সম্মেলনে রাশিয়া এক অনাকাঙ্ক্ষিত পক্ষপাত পেয়ে গেছে। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও রাশিয়াকে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭-এ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানে একের পর এক হামলা চালানোর আগে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কড়া ‘সতর্কবার্তাও’ দেয়। ইসরায়েল দাবি করে, ইরান দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে অগ্রসর হচ্ছে, আর এই হামলাগুলো সেই প্রচেষ্টা রুখতেই প্রয়োজন ছিল। তবে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মূল্যায়ন খুবই সাংঘর্ষিক।
হামলা চালিয়ে ইরান সরকারের জন্য জনসমর্থন অর্জনের পথ খুলে দিচ্ছে ইসরায়েল—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তেহরানভিত্তিক সাংবাদিক ও গবেষক আব্বাস আসলানি বলেন, এত দিন যাঁরা সরকারবিরোধী অবস্থানে ছিলেন, তাঁরাও এখন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছেন।
কিন্তু গত শুক্রবার ইরানের ওপর হামলা চালানোর পর ইসরায়েল আর সেই ছাড় পায়নি, যা ইরাকের ক্ষেত্রে শুরু হয়েছিল। ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা দিনের পর দিন গড়াচ্ছে, সম্ভবত সপ্তাহও পেরিয়ে যাবে। এবারে ইসরায়েলের লক্ষ্য আরও বড়—তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার ধ্বংস, একাধিক পারমাণবিক
ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে যে হামলা শুরু করেছে, তা যেন শুধু স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে নয়, বরং সেই কর্মসূচির মাথা হিসেবে পরিচিত বিজ্ঞানীদের বিরুদ্ধেও। এই হামলার তালিকায় ছিল ইরানের পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান ফেরেইদুন আব্বাসির নাম।
এক বছর আগে গাজায় আগ্রাসনে নেমে বেশ চাপে ছিল ইসরায়েল। আটকে পড়া জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণ, আর ওয়াশিংটনের চাপ ছিল যুদ্ধ থামাতে। তবে এবার ইরানে আক্রমণ শুরু করার পর তেমন কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেই দেশটি।
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের কেবল শুরু। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস ও সামরিক বাহিনীকে পঙ্গু করে দিতে ‘যত দিন লাগবে’ ইসরায়েল তত দিন আঘাত হানতে থাকবে। এটি প্রাথমিকভাবে কয়েক সপ্তাহ হতে পারে। ইরান এরই মধ্যে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলের
গত শুক্রবার ভোরে আকস্মিকভাবে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও। মূলত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি হামলার জবাব দিচ্ছে দেশটি। ইসরায়েল দাবি করেছে, গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত ইরান মোট ৩৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের দৈনিক ব্যয় অনুমান করা বেশ জটিল। কারণ সরকারি তথ্য প্রাপ্তির সীমাবদ্ধতা, সংঘাতের তীব্রতার পরিবর্তন এবং পরোক্ষ অর্থনৈতিক প্রভাব মিলিয়ে হিসাবটি অত্যন্ত জটিল হয়ে ওঠে। এরপরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে, সরাসরি সামরিক ব্যয়ের আনুমানিক একটা হিসাব করা যেতে...
তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত। দিন যত যাচ্ছে, এই সংঘাতে দুই পক্ষেরই প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। ইরানে অন্তত ৮০ জন ও ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে থামানোর উদ্দেশ্যে এটি একটি ‘প্রতিরোধমূলক হামলা’।
ইরানে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের ওপরই নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি। যদিও উত্তেজনা অবশ্যম্ভাবী, তবে পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক হবে, তা এখনই বলা মুশকিল।
ইরানে পতিত পাহলভি রাজবংশের দাবি করা যুবরাজ রেজা পাহলভি দেশটিতে বর্তমান রেজিমের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের আভাস দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের সাবেক এই যুবরাজ এই পরিকল্পনার আভাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর ইরানিরা বর্তমান ইসলামিক
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জেরে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে সর্বশেষ সংযোজন হলো, ইরানে ইসরায়েলি হামলা। এই ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে তেহরানকে দুর্বল করেছে এবং কৌশলগত দিক থেকে ইসরায়েলকে শক্তিশালী করেছে। এসব ঘটনা ছাড়া গত শুক্রবার ইরানের ওপর ইসরায়েলের নতুন আক্রমণ সম্ভব হতো বলে মনে হয় না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বহুদিন ধরেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। সেই প্রেক্ষিতে তেহরানও দীর্ঘদিন ধরে সম্ভাব্য হামলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে।